কুরআন কীভাবে আমাদের জীবনের কথা বলে, কীভাবে আমাদের জীবনে কুরআন হয়ে উঠতে পারে আলোর দিশা, কুরআনের আয়াতগুলো থেকে কীভাবে আমরা আহরণ করতে পারি মণি-মুক্তো, কীভাবে কুরআন আমাদের চিন্তার জগতে আনতে পারে নতুন মাত্রা— পাঠক পরিচিত হবে সেরকম একটা ধারার সাথে। উঁহু, গতানুগতিক গদ্য বা খটমটে প্রবন্ধ নয়, প্রতিটা অধ্যায়ে পাঠক দেখতে পাবে তার জীবনের প্রতিচ্ছবি, জীবন থেকে নেওয়া ঘটনা অথবা চারপাশের চিরচেনা জগতের সাথে কুরআন কীভাবে ওতপ্রোতভাবে সম্পর্কিত। জীবনের গল্প পড়তে পড়তে পাঠক ঢুকে পড়বে কুরআনের ভাবনার জগতে, সেই জগত থেকে আলো ধার করে পাঠক আবার ফিরে আসবে জীবনের ধারায়— ‘কুরআন থেকে নেওয়া জীবনের পাঠ’ বইটা সাজানো ঠিক এভাবেই, আলহামদুলিল্লাহ
তাওহীদ আল্লাহর কাছে আমল গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তি। শিরক তাওহীদের সম্পূর্ণ বিপরীত। শিরক সকল আমলকে বিনষ্ট করে দেয়।
তাওহীদের মাধ্যমে আমল গ্রহণযোগ্য হয়, আর শিরক আমলকে ধ্বংস করে দেয়। তাই তাওহীদ ও শিরক সম্পর্কে জানতে হবে ।
আর এ জানার উৎস হবে কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ ।
আল্লাহর দ্বীনের মূল ভিত্তি তাওহীদ । তাওহীদ মানে আল্লাহকে রব ও ইলাহ্ হিসেবে একক মর্যাদা দেয়া । তাওহীদের বিপরীত শিরক ।
শিরক হচ্ছে যা আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট এবং শুধু মাত্র আল্লাহরই প্রাপ্য, তাতে অন্য কাউকে অংশীদার বানানো ।
শিরক 'কে কুরআনে 'যুল্ম আযীম' তথা মহা অবিচার বলা হযে়ছে। শিরক অমার্জনীয় অপরাধ । শিরক সকল নেক আমল নষ্ট করে দেয়।
আল্লাহ মানুষের হেদাযে়তের জন্য যুগে যুগে নবী—রাসূল পাঠিযে়ছেন। সকল নবী— রাসূলের দাওয়াতের মূল বিষয় ছিল তাওহীদ ।
ঈমানকে নির্ভেজাল তাওহীদের ওপর টিকিযে় রাখার জন্য এবং শিরক থেকে বাচার জন্য প্রতেক মুমিনেরই তাওহীদ ও শিরক সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা প্রযে়াজন । এ ধারণা থাকলেই সে জানতে পারবে তাওহীদ কী? তাওহীদের দাবি কী ? শিরক কী ? শিরকের পরিণতি কী ? আর এ সব জানতে পারলেই তার বাস্তব জীবনে ঈমানের প্রভাব পরিলক্ষিত হবে । সে আল্লাহর প্রভূত্ব ছাড়া আর কারো প্রভূত্ব মানবে না।
আল্লাহর দাসত্ব ও গোলামী ছাড়া আর কারো দাসত্ব ও গোলামী করবে না। আল্লাহর সার্বভৌমত্ব ছাড়া আর কারো সার্বভৌমত্ব মানবে না।
আল্লাহর ক্ষমতায় কাউকে অংশীদার বানাবে না। সকল ধরনের তাগতকে সে বর্জন করবে । সকল ধরনের শিরককে সে প্রত্যাখ্যান করবে।
'তাওহীদ ও শিরক' বইটিতে তাওহীদের পরিচয়, তাওহীদের মর্যাদা, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নানা আঙ্গিকে তাওহীদ চর্চা, মানব জীবনে তাওহীদের প্রভাব এবং শিরকের পরিচয়, কারণ, পরিণাম, আমাদের সমাজে প্রচলিত শিরক ইত্যাদি বিষযে়র আলোচনা করা হযে়ছে।
প্রতিটি প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে । আর অবশ্যই কিয়ামতের দিন তাদের প্রতিদান পরিপূর্ণভাবে দেয়া হবে; সুতরাং যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে-ই সফলতা পাবে, আর দুনিয়ার জীবন শুধু ধোঁকার সামগ্রী ।”
-সূরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৮৫
যে কোনো বই নিবিড় মনে পড়ার সময় প্রিয় পাঠক-পাঠিকার মনে কিছু প্রশ্নমালা উঁকি দেয়, পাশাপাশি তারা কিছু করণীয় বিষয় তুলে আনার চেষ্টা করেন । এ সবের প্রতি লক্ষ্য রেখেই বইটির -
• প্রথম অধ্যায়ে ‘মানব পরিচয়' শিরোনামে মানুষের সৃষ্টি-রহস্য, মানব সৃষ্টির লক্ষ্য, মানব জীবনের সফলতা ও ব্যর্থতা সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে।
• দ্বিতীয় অধ্যায়ে ‘মৃত্যুর বিবরণ’,
• তৃতীয় অধ্যায়ে ‘গোসল, কাফন, জানাযার নামায ও দাফন' সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ অনেক মাসআলা-মাসায়েল বিশুদ্ধ দলিলের আলোকে বর্ণনা করা হয়েছে ।
• চতুর্থ অধ্যায়ে ‘কবরের বিবরণ’, পঞ্চম অধ্যায়ে “কিছু ভ্রান্তির অপনোদন' শিরোনামে কিছু জিজ্ঞাসার জবাব এবং
• ষষ্ঠ অধ্যায়ে ‘কিছু পাথেয়' শিরোনামে আমাদের করণীয় ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হয়েছে ।
ইতোপূর্বে ”পৃথিবী আমার আসল ঠিকানা নয়” বইটির দুইটি সংস্করণ প্রকাশ করা হয়েছে । ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তায় আলোচ্য বইটির বিন্যাস, উপস্থাপনার ধরন, মান ও নির্ভরযোগ্যতা সুধী পাঠক সহজেই উপলব্ধি করতে সক্ষম হবেন । বইটি দ্বারা পাঠক মহল উপকৃত হলেই আমাদের প্রচেষ্টা সার্থক হয়েছে বলে মনে করবো ।
আল্লাহ মুমিনদেরকে “হে আমার বান্দাগণ!' বলে সম্বোধন করেছেন । তাই আল্লাহর বান্দা হওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার । শুধু ঈমান আনলেই আল্লার বান্দা হওয়া যায় না। আল্লার বান্দা হওয়ার জন্য প্রয়োজন বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলির। সে গুণ ও বৈশিষ্ট্যগুলো বিচ্ছিন্-বিক্ষিপ্তভাবে বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ করা হয়েছে । বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলির আলোচনা শুরু করা হয়েছে, ইবাদুর রাহমান- রাহমানের বান্দাগণ বলে। এখানে রাহমানের বান্দাদের যে গুণগুলোর উল্লেখ করা হয়েছে, দাওয়াত ইলাল্লাহর পথের কর্মী হিসেবে এ গুণগুলো আমাদের অর্জন করতে হবে।
রাহমানের বান্দাদের গুণাবলি বইটি কোনো গতানুগতিক বই নয়। এ বইটি সুরা আল ফোরকানের শেষাংশের ১৫টি আয়াতকে অবলম্বন করে লেখা হয়েছে। এ আয়াতগুলোতে আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাদেরকে ইবাদুর রাহমান-রাহমানের বান্দাগণ হিসাবে পরিচয় দিয়ে তাদের গুণাবলি উল্লেখ করেছেন। লেখক এ গুণ ও বৈশিষ্ট্যগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছেন।
আমাদের বিশ্বাস যারা এসব গুণ ও বৈশিষ্ট্য অর্জন করে রাহমানের বান্দাদের অন্তর্ভূক্ত হতে চান, তারা এই বইটি থেকে উপকৃত হবেন। ইনশাআল্লাহ।
অস্থিতিশীল বাজার। দ্রব্য-মূল্যের উর্ধ্বগতি। ঝুঁকিতে আমদানি-রপ্তানি খাত। ভেঙে পড়ছে ব্যাংকিং সিস্টেম। বাড়ছে ঋণখেলাপির দায়। মূল্যস্ফীতিতে টালমাটাল বিশ্ব। অজানা শংকা বিরাজমান ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে। দূর্ভিক্ষের অশনি সংকেতে পেরেশান জন-সাধারণ। এর কারণ কী? কী কারণে ঘটছে এমনটা? এসব সমস্যার সমাধান কোথায়?
যে যাই বলুক বা যত ব্যাখ্যাই করুন; ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি সম্পর্কিত এসব সমস্যার সমাধান একটাই—মানবতার নবি হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবন ধারা ও জীবনার্দশের অনুকরণ ও বাস্তাবায়ন। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনের সুরা আহজাবের ২১ নং আয়াতে ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের জন্য রাসুলের জীবনে রয়েছে অনুকরণীয় সুন্দরতম আদর্শ।’ সুতরাং ব্যবসা-বাণিজ্যগত এই ক্রাইসিস, অর্থনৈতিক মন্দা এবং নৈতিক ও মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধে মহানবি হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্দরতম আদর্শ অনুসরণের কোনো বিকল্প নেই।
ব্যবসা-বাণিজ্য ও পেশা-ক্যারিয়ারে সফল হতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ব্যবসায়িক জীবনের ইতিহাস ও দিক-নির্দেশনার অনবদ্য একটি গাইডলাইনমূলক বই—‘দ্য গ্রেটেস্ট অন্ট্রাপ্রেনর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।’ বইটির মূল বৈশিষ্ট্য হলো—বর্তমান সময়ের সফল মানুষরা ব্যবসা ও আত্মউন্নয়নের জন্য যেসব গুণ-অভ্যাস ও ব্যবস্থাপনা-কৌশল অনুসরণ করার কথা বলেন; সেসব গুণ-অভ্যাস ও ব্যবস্থাপনা-কৌশলকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনদর্শনের আলোকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। পাশাপাশি আধুনিক ব্যবসা উন্নয়নে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের কর্ম, আদর্শ ও দিক-নির্দেশনাসহ তাঁর রণনীতির প্রয়োগযোগ্যতা প্রমাণ করা হয়েছে।
ব্যবসাজীবনে আপনি কি সফল হতে চান? শ্রম বিনিময় মাধ্যমে স্বার্থক একটি জীবন গড়তে চান? সফল একজন উদ্যোক্তা হিসেবে সফল একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা-ই কি আপনার জীবনের একমাত্র স্বপ্ন? সর্বপরি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনার্দশের আলোকে সুন্দর একটি ক্যারিয়ার গড়ে আপনি কি সফল মানুষ হতে চান? তাহলে এই বই হবে আপনার জন্য সময়ের সেরা উপহার।"
স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র, মজবুত ও টেকসই বন্ধন। দুনিয়ার কোনো সীমারেখায় একে সীমাবদ্ধ করা যায় না। ক্ষণস্থায়ী এই জগৎ পেরিয়ে অনন্তকালের চিরস্থায়ী জান্নাত পর্যন্ত তা বিস্তৃত। দুজনের সুসম্পর্কের কারণেই গড়ে ওঠে প্রশান্তিময় পরিবার, সমাজ, দেশ ও রাষ্ট্র। পৃথিবীর প্রধান ও মূল উপাদান—মানুষ স্বামী-স্ত্রীর সেই স্বর্গীয় বন্ধনেরই সুফল।
কিন্তু কিছু অনিয়ম ও অবহেলার কারণে পবিত্র এই সম্পর্কের মাঝেও আসে ভাঙন। সুখ-শান্তির এই ঘরেও হানা দেয় অশান্তির আগুন; যা তিলে তিলে শেষ করে দেয় দুটি পরিবার, দুটি জীবন। আমরা ভাবি পারিবারিক সব সমস্যার মূলে রয়েছে যুগ থেকে পিছিয়ে থাকা, আধুনিক না হওয়া। কিন্তু না, বর্তমান যুগের উচ্চ শিক্ষিত, সম্ভ্রান্ত পরিবারের আধুনিক ছেলে শাদি। বিয়েও করেছে উঁচু ফ্যামেলির উচ্চ শিক্ষিতা সুন্দরী মেয়ে নাদাকে। শুরুর দিকে তাদের দাম্পত্যজীবন চমৎকারভাবে প্রবাহিত হলেও কিছু দিন পর থেকে শুরু হয় ভীষণ টানাপোড়েন আর দ্বিমুখী দ্বন্দ্ব। ফলে কেউ কারও ছায়া পর্যন্ত আর দেখতে চায় না, বিচ্ছিন্ন থাকতে চায় সারাজীবন।
তা হলে মূল সমস্যা কোথায়? কী কারণে শিক্ষিত আধুনিক পরিবারগুলোও ভেঙে খান খান হয়ে যাচ্ছে? আর এর সমাধানই-বা কী? এই বইয়ে নাদা এসব জানতেই শরণাপন্ন হয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে সফল ও সুখময় দম্পতি আয়িশা ও মুহাম্মাদ ﷺ-এর কাছে। নাদা সিরাতের পাতায় আয়িশা রা.-এর কাছে এক এক করে তাদের সব সমস্যার কথা তুলে ধরে এর সমাধান ও প্রকৃত রহস্য জানতে চেয়েছে। আর তিনিও সবিস্তারে নববি দম্পতির খুঁটিনাটি সবকিছু বর্ণনা করে দিয়েছেন, আর উন্মুক্ত করেছেন সুখ, সফলতার সবকটি দুয়ার।
আশা করি এর মাধ্যমে তারাসহ পৃথিবীর সব দম্পতি খুঁজে পাবে সঠিক পথ, যার শেষপ্রান্তে রয়েছে নৈসর্গিক সুখের নিরাপদ নীড় ও নগর।