দয়াময় রব গোটা সৃষ্টিজগৎকে সাজিয়েছেন অপরূপ নৈপুণ্যে, সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়েছেন অনুপম কারুকার্যের হাজারো নিদর্শন। কত বদল আর বৈচিত্র্যে ঠাসা এ চরাচর! যেন প্রভুর পরম আসমানি স্পর্শ লেগে আছে প্রতিটি কোণে। একেক সৃষ্টিকে তৈরি করেছেন একেক ব্যঞ্জনায়। এজন্যই তো অহংকার তাঁর আপন চাদর। আমাদের যত প্রার্থনা ও স্তুতি—সকলই কেবল তাঁকে ঘিরে। তিনিই মানুষকে পাঠিয়েছেন জোড়ায় জোড়ায়; একে অন্যের ভূষণরূপে। আমাদের সমৃদ্ধ করেছেন উত্তম রিজিকে, প্রখর মেধা আর তারুণ্যের প্রাণোচ্ছল চঞ্চলতায়। ভরসার ছায়া আর অবারিত অনুগ্রহে আগলে রেখেছেন তামাম কুল-কায়েনাত।
এসবেরই স্বচ্ছন্দ ও সুখপাঠ্য পর্যালোচনা হাজির করেছেন বর্তমান সময়ের তুমুল জনপ্রিয় দাঈ শাইখ মিজানুর রহমান আজহারি। তরুণ প্রজন্মের সামনে পেশ করেছেন সুস্থ-সুন্দর, সময়োপযোগী ও ঈমানদীপ্ত জীবনের নববি চালচিত্র। সময়ের সবুজ সওয়ারিদের আহ্বান করেছেন গৌরবময় সত্যের পথে।
পৃথিবী সৃষ্টির আগে গোটা জগত কেমন ছিল? এর সূচনা কীভাবে হলো? সৃষ্টির শুরুতে আমরা কোথায় ছিলাম? আদম আ.-এর সৃষ্টির আগে পৃথিবীটাই-বা কেমন ছিল?ইমাম ইবনু কাসীর রহ. তাঁর বিখ্যাত ইতিহাস সিরিজ ‘আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ’ গ্রন্থের এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। আলমে আরওয়াহ থেকে দুনিয়া সফরের পূর্ণ ইতিহাস তিনি আলোচনা করেছেন। জনপ্রিয় দাঈ ওমর সুলেইমান এই গ্রন্থের ওপর ভিত্তি করে ৭০ পর্বের একটি সিরিজ বক্তব্য প্রদান করেন। সেই সিরিজ অবলম্বনেই ‘স্টোরি অব বিগিং’ বইটি।সৃষ্টির ইতিহাস প্রসঙ্গে আমরা যা জানি এবং এর বাইরে আরও যেসব বার্তা আছে, সেগুলো ধারাবাহিকভাবে এতে আলোচনা করা হয়েছে। কীভাবে মানুষ, বিশাল পৃথিবী, ভূমণ্ডল, নভোমণ্ডল, ফেরেশতা, জিন প্রাণীকুল সৃষ্টি হলো ইত্যাদি সবিস্তর আলোচনা এসেছে এই বইতে।
প্রফেসর সেলিম টি এস আল-হাসসানি রচিত ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক থেকে প্রকাশিত 1001 Inventions : The Enduring Legacy of Muslim Civilization নামের বিশ্ববিখ্যাত গ্রন্থের বাংলা অনুবাদ গ্রন্থ— মুসলিম সভ্যতার ১০০১ আবিস্কার। এটি কেবল একটি বই নয়— এক আকাশ ইতিহাসের শেকড়সন্ধানী ইতিহাস সংকলন। হাজার বছরের ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে ফেলা মুসলিম সভ্যতার মহানায়ক মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদানের ইতিহাসভিত্তিক আলোচনাগুলো আবৃত হয়েছে দুমলাটের ভেতরকার জমিনে। গোটা বিশ্বের ইতিহাস থেকে মুসলিম সভ্যতার অবদানমুখর অধ্যায়কে মুছে ফেলে এবং সকল শিক্ষা পাঠ্যক্রম থেকে এ আলোচনাকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে— যে সময়টিকে ডার্ক এইজ বা অন্ধকার যুগ হিসেবে পরিচিত করানো হয়েছে; এ গ্রন্থে মূলত সে সময়টিকে গোল্ডেন এইজ বা স্বর্ণযুগ প্রমাণ করার প্রয়াস চলানো হয়েছে। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তি এবং আবিস্কার-উন্নয়নের নেপথ্যে মুসলিমদের কৃতিত্ব ও অবদানমূলক গৌরবগাথাগুলো একত্রিত করা হয়েছে এ গ্রন্থের পাতায় পাতায়।
সাদা কাগজের কিছু পৃষ্ঠার ওপর কালো কালিতে খচিত নিছক কোনো গ্রন্থ নয় এটি। মুসলিম সভ্যতার মহানায়ক মুসলিম বিজ্ঞানীদের গৌরবগাথা আবিস্কার-অবদানের ইতিহাস সমৃদ্ধ শেকড়সন্ধানী এক প্রামাণ্যগ্রন্থ— মুসলিম সভ্যতার ১০০১ আবিস্কার।
৩৭৬ পৃষ্ঠার বৃহৎ কলেবরের একটি বই। মোট ৮ অধ্যায়ে বিন্যস্ত এ গ্রন্থে এক শতাধিক বিষয়ভিত্তিক শিরোনামে তুলে ধরা হয়েছে অসংখ্য-অগণিত আবিস্কার ও উন্নয়নের গল্প। গ্রন্থটির প্রতিটি লাইনে লাইনে উঠে এসেছে আবিস্কার-অবদানের চেপে রাখা ইতিহাসের ইতিহাস। এছাড়া মুসলিম সভ্যতার উন্নয়নের সময়কাল ও মুসলিম সভ্যতার প্রধান প্রধান অবদানের মানচিত্র শিরোনামের ২টি ব্যতিক্রমধর্মী টাইমলাইনের যুক্ত করার পাশাপাশি সাড়ে ৯ ইঞ্চি বাই সাড়ে ৬ ইঞ্চি সাইজের বইটি যুক্ত করা হয়েছে দূর্লভ ও বিরল হিস্ট্রিক্যাল বিভিন্ন ছবি ও প্রাচীন পাণ্ডুলিপির রেফারেন্স।
বর্তমানে বিশ্বে মুসলমানিত্বের অস্তিত্বের গৌরবোজ্জল ঐতিহাসিক পরিচয় নিয়ে বেঁচে থাকতে, পবিত্র কুরআন ও সহিহ হাদিসগ্রন্থের পর এ গ্রন্থটি সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য হওয়ার দাবি রাখে। কারণ এ গ্রন্থের প্রতিটি লাইন সমৃদ্ধ হয়েছে মুসলিমদের অবদানের গৌরবগাথায়। বংশগত ঐতিহ্য রক্ষার্থে প্রত্যেকটি মুসলিম পরিবার যেমনিভাবে বংশলতিকা সংরক্ষণ করে; মুসলিম সভ্যতার হাজার বছরের অবদানমুখর গৌরবগাথা ইতিহাস নিজেরা জানতে এবং অন্যকে জানাতে তেমনিভাবে এ গ্রন্থটিও প্রত্যেক মুসলিম পরিবারে সংরক্ষিত হওয়া উচিত।
আপনি কেন এই বইটি কিনবেন?
* আপনি কি জানেন— গণিত, ত্রিকোণমিতি, জ্যামিতি, ডিসটিলেশন-পাতন, রসায়ন এবং উড্ডয়ন যন্ত্র বা বিমানের আবিষ্কার কে বা কারা?
* কফি, ঘড়ি, দাবাখেলা, ধাঁধাযন্ত্র, সুগন্ধি, লাইফস্টাইল পণ্য এবং ক্যামেরা আবিষ্কার করেছিলেন কোন কোন মুসলিম বিজ্ঞানী?
* কৃষিবিপ্লব, পানি সরবরাহ, বাঁধ নির্মাণ, বায়ুকল, বস্ত্র ও কাগজ আবিষ্কারসহ মৃৎশিল্প, কাচের শিল্প-কারখানা, মণিমুক্তা-অলংকার ও মুদ্রার প্রচলনে মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদানের ইতিহাসগুলো আপনার জানা আছে কি?
* আপনি কি জানেন— স্থাপত্য, নগর পরিকল্পনা, খিলান, গম্বুজ, মিনার, দুর্গ, গণগোসলখানা, তাঁবু, কাচঘর এবং বাগান ও ঝরনার উন্নয়নসহ হাসপাতাল নির্মাণ, সার্জারি, চিকিৎসা-অস্ত্রোপচারের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও টিকা আবিষ্কার, ঔষধালয় নির্মাণ এবং ভেষজ চিকিৎসার উন্নয়নে মুসলিম সভ্যতার মহানায়ক মুসলিম বিজ্ঞানীদের কি কি অবদান রয়েছে?
* ভূগোল, মানচিত্র অঙ্কন, যুদ্ধাস্ত্র তৈরি, সামাজিক বিজ্ঞান ও অর্থনীতি এবং নৌবিদ্যা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ জোতির্বিদ্যা, মানমন্দির প্রতিষ্ঠা, অ্যাস্ট্রোলেব আবিষ্কার এবং চাঁদ ও নক্ষত্রপুঞ্জ নিরীক্ষণে মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদানের ইতিহাসগুলো আপনার জানা আছে কি?
এসব আবিষ্কার ও উন্নয়নের নেপথ্যে মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদানের শেকড়সন্ধানী ইতিহাস জানতে হাতে তুলে নিন ‘মুসলিম সভ্যতার ১০০১ আবিষ্কার’ গ্রন্থটি। গোটা বিশ্বের ইতিহাস থেকে মুসলিম সভ্যতার অবদানমুখর অধ্যায়কে মুছে ফেলে এবং সকল প্রকারের শিক্ষা পাঠ্যক্রম থেকে এ আলোচনাকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদানমূখর যে সময়টিকে ‘ডার্ক এইজ’ বা ‘অন্ধকার যুগ’ হিসেবে পরিচিত করানো হয়েছে, এ গ্রন্থে মূলত সে সময়টি ‘গোল্ডেন এইজ’ বা ‘স্বর্ণযুগ’ হিসেবে প্রমাণ করা হয়েছে।
সাদা কাগজের কিছু পৃষ্ঠার ওপর কালো কালিতে খচিত নিছক কোনো গ্রন্থ নয় এটি। মুসলিম সভ্যতার মহানায়ক মুসলিম বিজ্ঞানীদের গৌরবগাথা আবিষ্কার-অবদানের শেকড়সন্ধানী ইতিহাস সমৃদ্ধ এক প্রামাণ্যগ্রন্থ— মুসলিম সভ্যতার ১০০১ আবিস্কার।
প্রত্যাবর্তন ” বইটির ফ্ল্যাপের কথাঃ মোহ আর মিথ্যের মধ্য দিয়ে পথ চলতে চলতে একটা সময় আত্নাগুলো নিমজ্জিত হয় অন্ধকারের অতল গহ্বরে। সেই ভয়ার্ত অন্ধকার কূপ থেকে কেউ আলোর দেখা পায়, কেউ পায় না। কেউ নিজের আত্নাকে পরিশুদ্ধ করে নেওয়ার সুযোগ লুফে নেয়, কেউ নিজেকে হারিয়ে ফেলে অতল থেকে অতলে। যারা ফিরে আসে, কেমন হয় তাদের গল্পগুলো? সে রকম একঝাঁক পরিশুদ্ধ আত্নার গল্প নিয়েই
ভোরের শিশির, শীতের কুয়াশা, রাতের নিস্তব্ধতা, পাখিদের কলরব, নদীর অবিরাম বয়ে চলা, সাগরের বুকে উথাল-পাতাল ঢেউ—সবখানে সবকিছু ঠিকঠাক, কেবল আমাদের জীবনের কোথাও যেন এক নীরব ছন্দপতন। সেখানে সুর, তাল আর লয়ের কোনো হিশেব মিলছে না। প্রতিদিন একটা একঘেয়েমি চক্রে কেটে যাচ্ছে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত। মাঝে মাঝে হাপিত্যেশ লাগে—এভাবে একটা জীবন চলতে পারে? কী পাওয়ার বদলে কী হারাচ্ছি জীবন থেকে? এভাবেই কি ক্ষয়ে যাওয়ার কথা আস্ত একটা জীবন?
প্রশ্নগুলো অনেকের, কিন্তু উত্তরগুলো যেন কোথাও বিন্যস্ত করা নেই। জীবনে একটা বদল প্রয়োজন, একটা পরিবর্তন ভীষণ জরুরি—তা আমরা জানি। কিন্তু কীভাবে শুরু করবো? ঠিক কোথা থেকে যাত্রা করবো নতুন এক দিনের? এইসব প্রশ্নের উত্তর আর জীবনের এক নতুন উপাখ্যান রচনায় ‘এবার ভিন্ন কিছু হোক’ বইটি হতে পারে আপনার নিত্যদিনের সাথি।