এখন তো সবাই টাইম মেশিনে মহাবিশ্ব ঘুরে বেড়াতে চায়। আবার এটাও জানতে চায়, বর্ষায় বাজ থেকে বাঁচার উপায় কী। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের পাঠানো মহাবিশ্বের সাম্প্রতিক সাড়াজাগানো ছবিগুলো আমাদের নিয়ে গেছে বিগ ব্যাংয়ের আরও কাছে। বিজ্ঞানের সবকিছু জানাবোঝার আগ্রহ এখন অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। সে জন্যই বইটি সবার হাতে হাতে থাকতে পারে।
টাইম ডায়ালেশন কী? সূর্যের চেয়ে চাঁদ ৪০০ গুণ ছোট আবার ৪০০ গুণ কাছে কেন? মহাশূন্য ঠান্ডা কেন? স্বপ্ন কেন দেখি? বানর কেন কথা বলতে পারে না? কোভিডের টিকা নিলেও কেন করোনা হয়? বাঘ-সিংহ শুধু মাংস খেয়ে বাঁচে কীভাবে? একই সঙ্গে দুই হাতে লেখা যায় না কেন? নারীর চেয়ে পুরুষদের মাথায় বেশি টাক কেন? ভয় পাওয়ার পেছনের বিজ্ঞান কী? ফোবিয়া দূর করব কীভাবে? মশা তাড়াব কীভাবে? মানুষের শরীরে জীবকোষের চেয়ে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বেশি কেন? এসব কী ও কেন-এর উত্তর কী? পড়ুন বিজ্ঞানের এই ব্যতিক্রমী বইটি।
লোভ। স্বর্ণের কাছাকাছি পদার্থ থেকে স্বর্ণ তৈরি ও অমরত্বের লোভই মানুষকে রসায়নের সন্ধান দিয়েছিল। পরমাণু আবিষ্কার ও মৌলদের গায়ে সংখ্যা বসানোর মাধ্যমে সেই রসায়ন পরিণত হয় বিজ্ঞানে। ১৮৬৯ সালে দিমিত্রি মেন্ডেলিভ সবকিছুকে এক সুতায় গাঁথার প্রচেষ্টায় তৈরি করেন এক পৃষ্ঠার মৌলতালিকা—পর্যায় সারণি। কিন্তু বাস্তব জীবনে রসায়ন কী কাজে লাগে? আসলে প্রতিটি জীব একেকটি রাসায়নিক কারখানা। আপনার জামাকাপড় থেকে শুরু করে খাদ্য উৎপাদন, পরিবহন, জ্বালানি এবং আমাদের আজকের বর্ণিল পৃথিবী—প্রতিদিনের জীবনে ব্যবহৃত প্রতিটি বস্ত্তর পেছনেই রয়েছে রসায়নবিজ্ঞানের অবদান। স্কুল-কলেজে রসায়ন যাঁদের কাছে নীরস মনে হয়েছে, এ বই তাঁদেরকে রসায়নের ভিন্ন এক জগতের গল্প শোনাবে। পিটার অ্যাটকিনসের সহজ ও গভীর অন্তদৃর্ষ্টি আপনাকে নিয়ে যাবে রসায়নের গভীরে। যেখানে জীবন মিলেমিশে এক হয়ে যায় বিজ্ঞানচর্চার সঙ্গে। আশা করা যায়, বিজ্ঞানশিক্ষার্থী থেকে সাধারণ পাঠক সবার কাছে বইটি সমাদৃত হবে।