দ্য রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) ভারতের গোপন বৈদেশিক গুপ্তচর সংস্থা। সবচেয়ে কম জানা সংস্থাগুলোর অন্যতম। প্রকাশ্যের-এর সম্পর্কে তেমন কোনও তথ্য নেই। একটা স্পাই এজেন্সির জন্য সেটাই স্বাভাবিক। এই সংস্থাটা কী, এর কাঠামো কী, এর ভূমিকা আর ভবিষ্যৎ-দৃষ্টি কী? কেন এটা গঠন করা হয়েছে? কারা এটি পরিচালনা করেন?
চীনের সঙ্গে যুদ্ধকালে ভারতের গোয়েন্দাবৃত্তির ব্যাপক ব্যর্থতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই সংস্থার জন্ম ১৯৬৮ সালে। বাংলাদেশ গঠনে অতীব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে র। তাছাড়া অত্যন্ত সফল অভিযান চালিয়েছে ফিজি, আফগানিস্তান ও শ্রীলংকায়। উপমহাদেশে পাকিস্তানের স্পাই এজেন্সি আইএসআই-এর চক্রান্ত প্রতিহত ও নস্যাৎ করেছে। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলেও অভিযান চালিয়েছে র। ইরান-ইরাক যুদ্ধে পালন করেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
গুপ্তচরবৃত্তির সাহায্য না নিয়ে কোনও দেশ বিশ্বে তার প্রভাব বৃদ্ধি করতে পারে না। ভারতের অথনৈতিক বিকাশ ও প্রভাব র-এর সাফল্যের প্রমাণ। অনুসন্ধানী সাংবাদিক যতীশ যাদব বাস্তব এজেন্টদের জীবন অনুসরণ করেছেন এবং বাস্তব পরিস্থিতিতে তাদের ক্রিয়াকলাপের মানচিত্র তৈরি করেছেন। ভারতীয় স্পাইদের সঙ্গে তার আলাপচারিতায় উঠে এসেছে একটা গোপন অভিযান প্রকৃতপক্ষে কীভাবে চালান হয়।
দ্য রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র)
ভারতের গোপন বৈদেশিক গুপ্তচর সংস্থা। সবচেয়ে কম জানা সংস্থাগুলোর অন্যতম। প্রকাশ্যে র-এর সম্পর্কে তেমন কোনও তথ্য নেই। একটা স্পাই এজেন্সির জন্য সেটাই স্বাভাবিক। এই সংস্থাটা কী, এর কাঠামো কী, এর ভূমিকা আর ভবিষ্যৎ-দৃষ্টি কী? কেন এটা গঠন করা হয়েছে? কারা এটি পরিচালনা করেন?
চীনের সঙ্গে যুদ্ধকালে ভারতের গোয়েন্দাবৃত্তির ব্যাপক ব্যর্থতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই সংস্থার জন্ম ১৯৬৮ সালে। বাংলাদেশ গঠনে অতীব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে র। তাছাড়া অত্যন্ত সফল অভিযান চালিয়েছে ফিজি, আফগানিস্তান ও শ্রীলংকায়। উপমহাদেশে পাকিস্তানের স্পাই এজেন্সি আইএসআই-এর চক্রান্ত প্রতিহত ও নস্যাৎ করেছে। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলেও অভিযান চালিয়েছে র। ইরান-ইরাক যুদ্ধে পালন করেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
গুপ্তচরবৃত্তির সাহায্য না নিয়ে কোনও দেশ বিশ্বে তার প্রভাব বৃদ্ধি করতে পারে না। ভারতের অথনৈতিক বিকাশ ও প্রভাব র-এর সাফল্যের প্রমাণ। অনুসন্ধানী সাংবাদিক যতীশ যাদব বাস্তব এজেন্টদের জীবন অনুসরণ করেছেন এবং বাস্তব পরিস্থিতিতে তাদের ক্রিয়াকলাপের মানচিত্র তৈরি করেছেন। ভারতীয় স্পাইদের সঙ্গে তার আলাপচারিতায় উঠে এসেছে একটা গোপন অভিযান প্রকৃতপক্ষে কীভাবে চালান হয়।
তিনজন নেতা এসেছিলেন উপমহাদেশে।
তাঁদের প্রভাব, তাঁদের ঘিরে থাকা বিতর্ক, তাঁদের উত্তরাধিকার আজকের দিন পর্যন্ত রাজনৈতিক বৈরিতায় ইন্ধন জুগিয়ে চলেছে।
রাজনীতির আকাশে বিশাল নক্ষত্রের মতন জ্বলজ্বল করছে আজও তাঁদের নাম- শেখ মুজিবুর রহমান, ইন্দিরা গান্ধী, জুলফিকার আলী ভুট্টো। তাঁদের রাজনৈতিক ভূমিকা সম্পর্কে রয়েছে পরস্পরবিরোধী কাহিনী । বক্তার ওপর নির্ভর করে প্রতিটা কাহিনীর থাকে ‘বাংলাদেশী’, ‘ভারতীয় ও ‘পাকিস্তানী’ সংস্করণ। এসব সংস্করণের মধ্যে সংযোগ অন্বেষণ এবং তিন নেতার পূর্ণাঙ্গ ও বস্তুনিষ্ঠ রাজনৈতিক প্রতিকৃতি তুলে ধরা হয়েছে এই বইতে।
এই তিনজন কিংবদন্তিতুল্য নেতা উপমহাদেশের রাজনীতিতে রেখে গিয়েছেন অমোচনীয় দাগ। শেখ মুজিবুর রহমান, ইন্দিরা গান্ধী ও জুলফিকার আলী ভুট্টো নিজ ভূখণ্ডে জনগণের নিরঙ্কুশ ভালোবাসা পেয়েছেন, আবার প্রতিহিংসারও শিকার হয়েছেন।
অনুগামী, গুণগ্রাহী আর অনুগত সমর্থকরা তাঁদের আইডলে পরিণত করেছে, রোমান্টিক করে তুলেছে, করুণ রসের বস্তুতে পরিণত করেছে- তাঁদের স্মরণ করা হয় নায়ক ও শহীদ হিসেবে।
অন্যদিকে সমালোচকদের চোখে তাঁরা ক্ষমতালোভী স্বৈরাচারী, দলান্ধ— যাঁরা তাঁদের দেশের ইতিহাসে রেখে গেছেন কালো দাগ।
কাকতালীয় বিষয়, তাঁদের তিনজনেরই মৃত্যু হয়েছে অস্বাভাবিকভাবে।
দুর্নীতি ও রাজনীতি বাংলাদেশ বাস্তবতায় পরস্পর সম্পৃক্ত একটি জটিল বিষয়। রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারণ, প্রক্রিয়াকরণ ও বাস্তবায়নের প্রতিটি পর্যায়ে নীতি, দুর্নীতি ও রাজনীতির স্পষ্ট সমীকরণ বিদ্যমান।
নীতি ও রাজনীতি পরস্পর অবিভাজ্য। রাজনীতি নীতিবোধ দ্বারা পরিচিত ও পরিবেশিত না হয়ে কখনো কখনো কোথাও কোথাও উল্টো পথে হাঁটে। নেতিবাচক ফলদায়ক হয়ে দাঁড়ায়। দুর্নীতি সে রকমই একটি উল্টো রথের বিষয়। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ সেভাবেই যেন চলমান।
নীতি, দুর্নীতি ও রাজনীতির আবর্তে যে বাংলাদেশ সে সম্পর্কিত বিষয়ের বিশ্লেষণই এই গ্রন্থের প্রতিপাদ্য বিষয়। বাংলাদেশ সমাজ ও সরকারের সবকিছুই এর আলোচ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত। একটি নির্দিষ্ট সময়কে যথার্থভাবে অনুধাবনের স্বার্থে বিন্যস্ত হয়েছে বিষয়াবলি। এসব বিষয়ের মাধ্যমে এটি স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে, বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও সরকারে নীতি বিসর্জিত হয়েছে। দুর্নীতিই নীতি হিসেবে গৃহীত হয়েছে। এভাবে অনিয়মই যেন হয়ে উঠেছে নিয়ম। রাষ্ট্রব্যবস্থার মূল চালিকাশক্তি ‘রাজনীতি’ তথা রাজনৈতিক সরকার অন্যায়ের নিয়ামক হয়ে উঠেছে। এই গ্রন্থে এ অবস্থা থেকে উত্তরণের সন্ধান খোঁজা হয়েছে।