গল্পের সারাংশ:
কালীগুণীন এবং বাঘের থাবাঃ দেবেন্দ্র জমিদার হলেও হরেক রকম পরীক্ষা নিরীক্ষার পাগলামি রয়েছে তাঁর। একখানা প্রাচীন পুথির সন্ধান পেয়ে দেবেন্দ্র আবিষ্কার করে ফেলল এক রহস্যময় আরক! যে আরকের দুর্নিবার প্রভাবে আমূল পরিবর্তন ঘরে মানব শ্রীরে। কী সেই পরিবর্তন? হাতকাটা সাধু কেন নিজের পূর্ণশক্তির প্রয়োগ করে ঝাঁপিয়ে পড়ল এই আরকের সন্ধানে?
কালীগুণীন এবং রাহুর গ্রাসঃ সুন্দরবনের একখানা অখ্যাত গাঁয়ে খননকার্য চালাতে গিয়ে উঠে এল একখানা আস্ত প্রাসাদ! প্রাসাদ, নাকি পুরাকালের কোনও কারাগার? কে বন্দি ছিল সেই অন্ধকূপে? এরপরেই গ্রামে শুরু হয় পরপর ভয়ানক নরমেধের পালা…
আপাই–নরমেধে আহূতি আবারঃ ডাকিনীর বিল গ্রামে হানা দিল এক অতি ভয়ঙ্কর বিপদ! তীক্ষ্ণ, ক্ষুরধার মেধার এই নৃশংস হত্যাকারী সহস্র রকমের ভেক ধরে, ছলে ভুলিয়ে হত্যা করে গাঁয়ের লোকদের। এক অসামান্য প্রাচীন বিদ্যা, যা আমূল বদলে দিতে পারে পৃথিবীকে। কালীপদ মুখুজ্জে কি পারল দ্বিতীয়বার সেই আপাইয়ের মোকাবেলা করে এই নরমেধকে বন্ধ করতে?
কালীগুণীন এবং বাঘামূড়ার আতঙ্কঃ বাঘের হাতে মানুষের মাথা আর ধর বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে সেই দেহে জন্ম নেয় কারা? আরম্ভ হল সাতখানা গাঁ জুড়ে এক নৃশংস নরবাঘের তান্ডব! সে ছলে বলে কৌশলে আরম্ভ করল নৃশংস নরহত্যা। কালীগুণীন কীভাবে লড়বে এই মানুষ আর বাগ-মানুষের মধ্যেকার অসম যুদ্ধ?
কালীগুণীন এবং ছিন্নমস্তার পুথঃ গণপতি কবিরাজ সুদূর পর্বতের কোনও এক গাঁ-এ সন্ধান পায় এক মহা আশ্চর্য বিদ্যার যা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভিত নড়িয়ে দিতে সক্ষম! কী সেই বিদ্যা? সেই সাত রাজার ধন পুথিকে হস্তগত করতে আক্রমণ করল এক নরপিশাচ। কালীগুণীন কি পারবে সেই অসম্ভব ধূর্ত নররাক্ষসকে নিজের কূটনৈতিক বুদ্ধি দ্বারা পরাস্ত করতে?
গল্পের সারাংশ
কালীগুণীন এবং দানবের মণিঃ এক পৌরাণিক দিব্যবস্তু, যাকে যুগ যুগ ধরে মানবসভ্যতা অলীক বলে ভেবে এসেছে। অথচ যার সন্ধানে আদিকাল থেকেই মুনি-ঋষি, দেব, দানব ও মানুষেরা ঘুরে বেরিয়েছে হাজার হাজার বছর ধরে। কালীগুণীন কি পারবে সেই পৌরাণিক রহস্য উদ্ধার করতে?
কালীগুণীন এবং করালদংষ্ট্রা রহস্যঃ পুরাণে যে মহা মারণাস্ত্রের নাম শোনা মাত্র দেবতা, দানব, যক্ষ, রক্ষ, পিশাচ, দৈত্য সকলে কাঁপতে কাঁপতে হাত জোড় করে বসে পড়ে, সেই মহামারী অস্ত্রের একটা অংশ হঠাৎ মানবসভ্যতায় উন্মুক্ত হয়ে পড়ল এক পুরাতাত্ত্বিক খননকার্যের ফলে আরম্ভ হল নরমেধের পালা। তারপর?
কালীগুণীন এবং ভস্মাসুরের শাপঃ এক প্রলয়ংকরী মহাবিদ্যা ‘বজ্রসম্ভব’ -এর সন্ধান পেয়ে কাপালিক চন্ড হয়ে উঠল আপরাজেয়। তাঁর গুরুর আশীর্বাদ, অপরের হাতে কখনও মরবে না সে। কালীগুণীন কি পারবে সেই অদম্য শক্তির আধার চন্ডকে পরাস্ত করতে।
কালীগুণীন এবং পঞ্চবান রহস্যঃ এক ধূর্ত তান্ত্রিকের অভিনব মারণ কৌশল এবং অনন্তর পরিবারকে রক্ষা করতে কালীগুণীনের অমোগ কূটবুদ্ধির লড়াই কি শেষ অবধি পারবে পঞ্চবাণের আশ্চর্য রহস্য ভেদ করতে? যখন অপশক্তির হাতে জীবনীশক্তি পরাস্ত হতে আরম্ভ করে… অশরীরী অপদেবতার হিংস্র থাবা গ্রাস করতে থাকে গ্রাম-তালুক-শহর… অপরাগ মানুষ অসহায়ভাবে অপেক্ষা করতে থাকে মৃত্যুর… ঠিক তখনই আবির্ভুত হন… পিশাচের যম… অপশক্তির সাক্ষাৎ শমন… এক ব্রাহ্মণ… নাম কালীপদ মুখুজ্জে… নিবাস রায়দীঘড়া।
ISI : পাকিস্তানের ভেতর আরেক পাকিস্তান
সিআইএ, RAW, সাভাক, কেজিবি ও অন্যান্য প্রমুখ ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির সাথে আইএসআই-র সম্পর্কের উপরও আলোকপাত করেছে; আর সন্ত্রাসী উপাদান ও সন্ত্রাসী সংগঠনের ব্যাপারে বলাই বাহুল্য। বইটি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও বিভিন্ন প্রদেশে আইএসআই-র প্রভাব ও আধিপত্য বিস্তারের বিষয়টিও তুলে ধরেছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তৎকালীন Deputy Chief of Staff ব্রিটিশ অফিসার মেজর জেনারেল রবার্ট কাউথর্ন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তানের Inter-Services Intelligence (ISI) বছরের পর বছর ধরে অনুন্নত ও অখ্যাত সংস্থা ছিল। উল্লেখ্য, ১৯৪৭-৪৮ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে আইএসআই গঠিত
হয়। ১৯৭৯ সালে আফগানিস্তানে সোভিয়েত যুদ্ধের সময় সংস্থাটির ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব অনুভূত হয়েছিল কারণ সংস্থাটি মুজাহিদিন প্রতিরোধকে সমর্থন করার জন্য সিআইএ-র সাথে হাত মিলিয়ে কাজ করেছিল। কিন্তু সংস্থাটির কার্যক্রম সংবাদ মাধ্যমে কভারেজ পায়নি বললেই চলে।
এরপর থেকে ১৯৮৮ সালে আইএসআইয়ের ভারতীয় কাশ্মীরে জড়িত থাকার বিষয়টি ক্রমবর্ধমান তদন্তের আওতায় আসে এবং ১৯৯৫ সাল নাগাদ আফগানি তালেবানকে আইএসআইয়ের তরফ থেকে পরামর্শ দেওয়ার বিষয়টিও ভালোভাবে প্রমাণিত হয়েছিল। কিন্তু আল কায়েদার সাথে সংস্থাটির কথিত যোগসূত্র এবং
পাকিস্তানের সামরিক অঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র অ্যাবোটাবাদে উসামা বিন লাদেনকে আবিষ্কার যা সত্যিই আইএসআই-কে স্পটলাইটের নিচে নিয়ে আসে। ১৯৯৮ সালে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষায় আইএসআইয়ের ভূমিকা এবং আবদুল কাদির খানের সাথে আইএসআইয়ের যোগসূত্রসহ নানান বিতর্ক আইএসআই-কে
হতাশায় ডুবিয়েছিল। অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম ও মুখ্য ব্যক্তিদের প্রগাঢ় জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক এজেন্সি হিসেবে আইএসআই সম্পর্কে নতুন অন্তর্দৃষ্টি দেওয়াই হলো এই বইয়ের মূল লক্ষ্য। এই চমকপ্রদ বইটি পাকিস্তানের সিক্রেট সার্ভিসের এতদিনের রহস্যময় জগতকে
উন্মোচন করবে।