কিছু মানুষ ভালো থাকার আশায় এই শহরকে ভালোবেসে তার বুকে বসতি গড়ে। কিন্তু শহর তাদেরকে ভালোবাসতে পারে না। দিনশেষে অনেকেই ভালো নেই। অনেক অজানা সমীকরণে বাঁধা। তবু কেউ জিজ্ঞেস করলে তারা বলে, “ভালো আছি।” মনের গহিনে কষ্ট রেখে ভালো আছি বলতে বলতে কিছু মানুষ খুব ক্লান্ত। এই ক্লান্তি বুকে নিয়েই দুঃখ-আনন্দের মেঘ দিয়ে তারা কল্পনার মেঘকুটির তৈরি করে। একসময় তারা সত্যি সত্যি মেঘ হয়ে যায়, দূরের মেঘ। জীবনের শেষে অথবা সম্পর্কের শেষে শুধু স্মৃতি থাকে, সময়টা হারিয়ে যায়।
মহাজন হাতেম আলীর ঘরে তিন-তিনজন স্ত্রী। তবু তার কামনার চোখ পড়ে কুলির কিশোরী মেয়ে কমলার উপর। একমাত্র কন্যাকে অবলম্বন করে বেঁচে থাকার চেষ্টারত কালুকে চাপ প্রয়োগ করে মেয়েকে মহাজনের চতুর্থ স্ত্রী হিসেবে কনের সাজে সাজাতে। মহাজনের যোগ্য সন্তান হারেছের চোখ পড়ে প্রস্ফুটিত গোলাপ কমলার উপর। কমলার স্কুলে যাওয়ার পথে তার প্রেম নিবেদনের নামে লালসার চোখ অনুসরণ করতে থাকে। বাবার আড়তের কুলি কালুর উপর নির্দেশ জারি করে মেয়ের সাথে তার বিয়ের ব্যবস্থা করতে। বাপ-ছেলে একই সাথে কালুর একমাত্র বেঁচে থাকার অবলম্বন মেয়েকে বিয়ে করতে উঠেপড়ে লাগে। অসহায় কালু বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে মানসিকভাবে। মেয়ের কাছে দুজনের একজনকে বেছে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া ভিন্ন পথ নেই। কিন্তু অন্য ধাতুতে গড়া কমলা পিতার পর্যুদস্ত চেহারা দেখে ফুঁসে ওঠে। রুখে দাঁড়ানোর প্রতিজ্ঞা করে পিতার কাছে। কমলা কি পারবে দুটি মূর্তিমান শয়তানের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে? পারবে কি নেতিয়ে পড়া পিতার মনে সাহস সঞ্চার করতে? সমাজের অসংগতিপূর্ণ ঘটনার উত্তর পেতে হলে পড়তে হবে-“বাবা, তোমাকে ভালোবাসি” কাহিনিটি।